রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুজন মৃধাকে (২৫) পূর্বশত্রুতার জের ধরে মারপিট ও তার মোটরসাইকেল ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ অভিযুক্ত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল মাহমুদ মিশাকে (৩২) গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে গোয়ালন্দ বাজার এলাকা থেকে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এর আগে ছাত্রলীগ নেতা সুজন মৃধা বাদী হয়ে বুধবার রাত ৯টার দিকে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত মিশা গোয়ালন্দ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাইমদ্দিন প্রামাণিকপাড়ার মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে। সুজনের বাবার নাম রফিক মৃধা। তার বাড়ি গোয়ালন্দ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বিপিন রায়েরপাড়ায়। পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেলটি জব্দ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুজন মৃধা মোটরসাইকেল চালিয়ে গোয়ালন্দ বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি আল মাহমুদ মিশার বাড়ির কাছাকাছি গেলে মিশা এগিয়ে এসে তার গতিরোধ করেন। তখন তার হাতে গৃহকর্মের কাজ করতে থাকা একটি ধারালো দা ছিল। এ সময় দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হলে মিশা সুজনকে দা দিয়ে কোপ দেন।
কিন্তু সুজন মিশার হাত ধরে ফেলে কোপ ঠেকায়। এ সময় দুজনের ধস্তাধস্তি ও কিলঘুষিতে সুজন শারীরিকভাবে কিছুটা আহত হন। পরে সুজন প্রাণভয়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে গেলে মিশা তার হাতে থাকা দা দিয়ে সুজনের মোটরসাইকেলটি এলোমেলো কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হীরু মৃধা বলেন, সুজনের সঙ্গে তাদের সভাপতি আল মাহমুদ মিশার কী নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল তা তার জানা নেই। সভাপতি কখনো তাকে কিছু জানাননি।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, বাদী সুজন মৃধার দায়েরকৃত এজাহারটি থানায় মামলা হিসেবে (নং-৩১, তারিখ ২৫/৮/২১) রেকর্ড করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আল মাহমুদ মিশাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।