পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সময় ১০০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে অন্তত ২৫ জনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। এ কারণে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিন্ধুর ঘোটকি জেলার ধারকি শহরের কাছে আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানের রেলওয়ে বিভাগের এক মুখপাত্র বলেন, মিল্লাত এক্সপ্রেস ট্রেনটি করাচি থেকে সারগোধায় যাচ্ছিল। জানা গেছে, মিল্লাত এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রথমে লাইনচ্যুত হয়। পরে স্যার সৈয়দ এক্সপ্রেস ট্রেন তাতে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার পর গ্রামের মানুষ, উদ্ধারকর্মী এবং পুলিশ সদস্যরা দ্রুত সেখানে ছুটে যান। তারাই আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঘোটকি পুলিশের এসএসপি ওমর তোফায়েল বলেছেন, ৫০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পার্শ্ববর্তী ঘোটকি, ধারকি, ওবারো ও মিরপুর মাথেলো এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। উল্টে পড়া বগিগুলো থেকে যাত্রীদের উদ্ধারে হিমশিম খেতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। চিকিৎসক ও প্যারামেডিক স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ১৩ থেকে ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে ৬ থেকে ৮টি বগি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে কী কারণে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে, সে ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায়নি। সে দেশে অবশ্য ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়টি নতুন নয়। ট্রেনের সিগন্যাল সিস্টেম এবং রেললাইনের উন্নয়নে সরকারিভাবে উদাসীনতার কারণে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে।
সূত্র: ভয়েজ অফ আমেরিকা।