Breaking News

জানলে অবাক হবেন যে কারণে রিকশাচালকদের করোনা সংক্রমণ হার কেন শূন্য!

সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ এখন একেবারেই তুঙ্গে। প্রতিনিয়তই দেশে বেড়ে চলছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে রাজধানীর প্রায় অর্ধেক মানুষই এখন করোনা আক্রান্ত। তবে তাজ্জব বিষয় এই যে, রাজধানীর রিকশাচালকদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ একেবারেই শুন্য। আর এ নিয়ে হয়েছে একটি গবেষনা। যেখানে দেখা যাচ্ছে রাজধানী সহ সারা দেশের রিকশা চালকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ একেবারেই শুন্য।

সংস্থাটি বলছে, রিকশাচালকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার শতকরা মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। কেননা তাদেরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ, বস্তিবাসীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। গতকাল অনলাইন প্ল্যাটফরমে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. এম শামসুল আলম।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার দুই সিটির ১২০০ জন রিকশাচালকদের মাঝে এ জরিপ চালানো হয়। করোনা মহামারীকালে সাধারণ ছুটিকালীন সময়েও এদের মধ্যে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যগত অন্যান্য সমস্যা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে- সাধারণ ফ্লু, সর্দি, কাশি, পেটে ব্যথা, শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা ইত্যাদি। এগুলো মূলত তাদের খাদ্যাভ্যাস এবং পেশাগত কাজের ঝুঁকির কারণেই হয়ে থাকে বলে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।

এতে আরও বলা হয়, মার্চ-জুনে সাধারণ ছুটির সময় যারা কাজ হারিয়ে ছিলেন অর্থাৎ রিকশা চালানো বন্ধ করেছিলেন তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ জনই আবার কাজে ফিরে এসেছেন। তবে তাদের রোজগার কমে গেছে। বর্তমানে একজন রিকশাচালক ১৩৬ টাকা রোজগার করে থাকেন। এদের ৫৬ শতাংশেরই রিকশা চালানোর মাধ্যমেই জীবিকা নির্ভর করে।

আর ৭ শতাংশ রয়েছেন যারা অন্য কাজও করেন। তাদের রোজগারও কিছুটা বেশি। মার্চ-জুনে এদের মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষের আয় বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখনো সম্পূর্ণ শতভাগ রিকশাচালক পেশায় নিয়মিত হতে পারেননি। কভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে এসে শতকরা ৮০ জন কাজে ফিরে আসতে পেরেছেন। বাকিদের ঢাকায় অবস্থানের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। হয়তো তারা ঢাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।

রিকশাচালকদের স্বাস্থ্য ও খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে গবেষণায় বলা হয়েছে- এদের শতকরা প্রায় ৭৩ জনই ধূমপায়ী। শতকরা প্রায় ৬২ জনই রাস্তা বা ফুটপাথ থেকে খাবার খেয়ে থাকেন। এদের ৬২ জন খাবারের আগে হাত ধৌত করেন। বাকিরা হাত না ধোয়ার কারণে নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। এমনকি টয়লেট করার পরও প্রায় ১৭ রিকশাচালক সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করেন না। এর কারণ হিসেবে সচেতনতার অভাব, উপযুক্ত পরিবেশের অভাব এবং আর্থিক অক্ষমতার কথা বলা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা ও এনজিও প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এ দিকে দেশে করোনার বর্তমান পরিস্থি এখন একেবারেই নাজেহাল। প্রতিনিয়তই দেশে করোনায় সংক্রমনিত রোগীর সংখ্যা হচ্ছে হাজার হাজার। আর সেই সাথে করোনায় প্রাণহানীও ঘটেছে ৭ হাজারেরও বেশি। আর এই কারনে দেশে এখন ভ্যাকসিন আনা খুবই জরুরী একটি বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।

Check Also

অধ্যাপক গোলাম আযম একটি নাম, একটি ইতিহাস

অধ্যাপক গোলাম আযম একটি নাম, একটি ইতিহাস। তিনি বিশ্বনন্দিত ইসলামী চিন্তাবিদ, ভাষা আন্দোলনের নেতা, ডাকসুর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *