বিশ্ববরেন্য মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দুটো সাজানো মামলায় ৭ ডিসেম্বর মাদ্রাসা ময়দানের বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়। বিপুল সংখ্যক আইন শৃংখলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে কাশেমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সকাল সাড়ে নয়টায় মাদ্রাসা ময়দানে আনা হয়।আমরা প্রায় শতাধিক আইনজীবী পূর্ব থেকেই বিশেষ আদালত চত্বরে তার জন্য অপেক্ষা করি।
প্রিজন ভ্যান থেকে হুইল চেয়ারে করে তাকে যখন আদালতে প্রবেশ করানা হয় তখন স্বভাব সুলভ কন্ঠে তিনি উচ্চস্বরে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সবাইকে সালাম জানান। আমরা আইনজীবীগন তার সামনে উপস্হিত হতেই তিনি আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত খোঁজখবর নেন।সংগঠনের দায়িত্বশীলদের কুশলাদি জানতে চান।
আদালতের কার্যক্রম শেষ হলে তার আইনজীবী হিসেবে একান্ত পরিবেশে সাক্ষাতের সুযোগ পাই।তার দুই পুত্র শামীম সাইদী ও মাসুদ সাইদীও আমাদের সাথে বিশেষ আদালতে তাদের বাবার সাথে একটু সাক্ষাতের জন্য যান। গেটে তাদেরকে আটকে দেয়া হয় ।আমরা আদালতে লিখিতভাবে আবেদন করি সাঈদী সাহেবের সংগে তার সন্তানদের সাক্ষাতের সুযোগ দানের জন্য।
বিজ্ঞ আদালত আমাদের আবেদন না মন্জুর করেন।গত ৯ মাস যাবৎ করোনা ভাইরাসের কারনে আল্লামা সাঈদীর সাথে পরিবারের কোন সাক্ষাৎ নেই।আমরা আশা করেছিলাম আজ সাক্ষাতের সুযোগ হবে। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় তা হলোনা। আল্লামা সাঈদী আইনজীবীদের সাথে সাক্ষাতকালে বলেন:”কথিত মামলার বিষয় বস্তুর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
হয়রানির উদ্যেশ্যেই এ আদালতে আমাকে হাজির করা হয়েছে।” তিনি বলেন মহান রাব্বুল আলামীন কুরআন শরীফে ২৫ জন নবীর কাহীনি উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাদের পরীক্ষা নিয়েছেন। আমি দুর্বল মানুষ।আমি দেশবাসীর নিকট দোয়া চাই যেন আল্লাহ ঈমানের পরীক্ষায় আমাকে পাস করার তওফিক দেন। আল্লামা সাঈদী শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন।তার বয়স ৮২ বছর।
তিনি একা চলাফেরা করতে পারেন না। অপরের সহযোগীতা ছাড়া বসতে বা দাড়াতে পারেন না। তিনি মানসিক ভাবে অনেক দৃঢ আছেন। সকল কষ্টের বিনিময়ে তিনি যেন আদালতে আখেরাতে আল্লাহর নিকট পুরস্কার পান সে কামনা করেন। তিনি দেশবাসীকে সালাম জানিয়েছেন ও দোয়া করতে বলেছেন।