‘রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে হত্যা করা হয়েছে। শিপন খুব চাপা স্বভাবের। মানসিকভাবে অনেক চাপ নিলেও কখনও কাউকে কিছু বলত না। ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপির কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন নিহত আনিসুলের বড় ভাই রেজাউল করিম।’
মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর জোড়পুকুরপাড় বরুদা এলাকায় নিহত আনিসুলের জানাজার আগে তিনি এসব কথা বলেন।
নিহতের বড় ভাই রেজাউল করিম আরও জানান, মানসিকভাবে অনেক চাপ নিলেও কখনও কাউকে কিছু বলত না। তারা দুই ভাই ও দুই বোন। গত কয়েক দিন ধরে তার কিছুটা মানসিক সমস্যা ছিল।
তিনি বলেন, তার বাবার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সন্মানিয়া ইউনিয়নের আড়াল গ্রামে হলেও প্রায় ৪০ বছর ধরে শহরের বরুদা এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন।
এদিকে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপনকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় গাজীপুর মহানগরীর রাজবাড়ী মাঠে তার জানাজা হয়। এর পর শহরের সরকারি গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আজাদ মিয়া, কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান।
২০১১ সালে আনিসুল করিম শিপন বিয়ে করেন। তার স্ত্রীর নাম শারমিন সুলতানা। এ দম্পতির চার বছর বয়সী সাফরান নামে একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
শিপন ২০০০ সালে গাজীপুর শহরের রানী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে। কাজী আজিমউদ্দিন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। তিনি ৩১তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশে যোগ দেন।
শিপনের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাইজুদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে রাজধানীর আদাবর থানায় মামলা করেছেন।
শিপনের বন্ধু কাওসার আহমেদ জানান, ছোটবেলা থেকে শিপন ছিল অত্যন্ত মেধাবী। অত্যন্ত সদালাপী ও বন্ধুবৎসল ছিল শিপন।
তিনি জানান, এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বুধবার সকালে শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।