Breaking News

সারা দেশে ‘হাজী সেলিম’দের ধরার উদ্যোগ

দলীয় নেতাকর্মীসহ সব ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে (শূন্য সহিষ্ণুতা) রয়েছে সরকার। বিশেষ করে আলোচিত কোনো অপরাধের জন্য মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা নেতারাও পার পাচ্ছেন না।

বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ালেই ‘অ্যাকশন’ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা রয়েছে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে। সে কারণেই আইনের আওতায় আসতে হয়েছে পুরান ঢাকার দাপুটে নেতা হাজী সেলিম পরিবারকেও। তাদের অন্যায়-অনিয়ম তদন্তে চলছে বহুমুখী অনুসন্ধান।

কেবল হাজী সেলিমই নয়, বিভিন্ন সময়ে তার মতো আরও যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে তাদের সন্ধানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি সরকারের বার্তা হল- ‘ব্যক্তি অপকর্মের জন্য সরকারের অর্জন ম্লান করতে দেয়া যাবে না।’

টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করা আওয়ামী লীগকে বিভিন্ন অপরাধে জড়ানোয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও শক্ত অবস্থানে দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি সফল অভিযানে মতিঝিলের ক্লাবপাড়ার ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের অবসান হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও অপরাধে জড়িয়ে আইনের আওতায় আসতে হয়েছে অনেককে। অন্তত এক ডজন এমপিকে আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে জবাবদিহীতার আওতায় আনা হয়েছে।

নানা সময়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানোয় দলের হাইকমান্ডের বিশেষ নজরদারিতে এসেছেন অন্তত ২৩ জন এমপি। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পদে থেকে বা পদ ব্যবহার করে অপরাধে জড়িয়ে এসেছে কঠোর শাস্তির আওতায়।

এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এরা যাতে ভবিষ্যতে দলের নাম ভাঙিয়ে অপরাধ করতে না পারে সেজন্য অনেকের বিরুদ্ধে নেয়া হয়েছে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও। দলের বিভিন্ন পর্যায় থেকে শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণাও এসেছে একাধিকবার।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে দুর্নীতি-অনিয়ম পাচ্ছি, সে আমার যত বড় দলের হোক, কর্মী হোক, যেই হোক, নেতা হোক, আমরা কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

হ্যাঁ, তাতে আমাদের বিরোধী যারা, তাদের লেখার সুযোগ হচ্ছে বা বলার সুযোগ হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করছে। কিন্তু এই কথাটা কেউ চিন্তা করছে না যে, আওয়ামী লীগ দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না; সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান যুগান্তরকে বলেন, অপরাধ যেই করছে তাকেই ধরা হচ্ছে। কেউই অপরাধ করে পার পাচ্ছে না। দলীয় পরিচয় দিয়ে যদি কেউ অন্যায়-অপরাধে জড়িয়ে পড়ে তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের কঠোর অবস্থান থাকবে।

তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধি বা যত বড় শক্তিশালী লোকই হোক না কেন, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। কেউ-ই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধীকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।

দলের কঠোর অবস্থানের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের চার গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে কথা হয় যুগান্তরের। এরা হলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

এদের প্রত্যেকেই যুগান্তরকে জানান, সরকারের উন্নয়ন ম্লান হয় এমন কাউকেই ছাড় না দিতে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এ বিষয়ে হাইকমান্ড থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও দলের তৃণমূলেও বার্তা দেয়া হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রগুলোও বলছে, অপরাধীদের ছাড় না দিতে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। সম্প্রতি হাজী সেলিমকে গ্রেফতারের পেছনেও ছিল ‘গ্রিন সিগন্যাল’।

এ ঘটনার পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে যারা অপরাধে জড়িয়েছে তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের গতি আরও বেগবান হয়েছে। কয়েকটি গোয়েন্দা এসব নিয়ে কাজ করছে।

এগুলোকে তারা বলছেন, ‘গ্রাউন্ড ওয়ার্ক’। প্রাথমিকভাবে তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে আগামীতে সাঁড়াশি অভিযানে যাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়েও কথা বলে জানা যায়, অপরাধীদের বিষয়ে তাদের শক্ত অবস্থানের কথা। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান রয়েছে আমাদের।

কে অপরাধ করল সেটি এখানে মুখ্য নয়। অপরাধ হলে যেই জড়িত থাকুক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি নোয়াখালীতে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধানকে আটকের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

জানতে চাইলে র‌্যাবের মুখপাত্র এবং আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করি। ব্যক্তির পরিচয় নয়, বরং অপরাধ কে করেছে সেটিই আমাদের কাছে মুখ্য বিষয়।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সর্বত্র র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। যারাই অন্যায়-অপরাধে জড়াবে, জুলুম-নির্যাতন করবে, তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) মো. সোহেল রানা যুগান্তরকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে যে কারও বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কার্পণ্য করছে না। এমনকি পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলেও দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অপরাধের ঘটনাগুলো আলোচনায় এলেই কেবল ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

তাছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাব কাজে লাগিয়ে তারা পার পেয়ে যাচ্ছেন। অথচ উচিত ছিল, এই ধরনের অপরাধীরা যেন কোনোভাবেই রাজনীতিতে না আসতে পারে- সেটা নিশ্চিত করা।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল, আমাদের দেশে সেই চর্চা নেই। ফলে অপরাধীরাও দলে জায়গা পায় এবং জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন রোববার বিকালে যুগান্তরকে বলেন, হাজী সেলিমের ছেলের ঘটনা সাধারণ কারও সঙ্গে ঘটলে কি এ অবস্থায় পৌঁছাত?

এতদিন কি হাজী সেলিমের সম্পর্কে কেউ জানত না? তবুও তো তিনি বারবার জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হয়েছেন। এক হাজী সেলিম এখন হয়তো আলোচনায় এসেছেন। এমন তো আরও অনেকেই আছেন।

এসব ঘটনার দু-চারটা হয়তো আমরা দেখি। যেগুলো খুব বেশি আলোচিত হয় সেগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি রাজনৈতিক শুদ্ধি অভিযান না চালায়, তাহলে এ ধরনের মানুষ আসবেই।

নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাজী সেলিম ঢাকা-৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে নির্বাচিত এমপি।

ইরফান নিজেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। এ ঘটনার পরে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার শ্বশুর নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করীম চৌধুরীর মেয়ের জামাতা।

এত প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য হওয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এর আগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিপরিষদ ও দলের সভাপতিমণ্ডলী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় এবং দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছিল।

পাবনার বেড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) লাঞ্ছিত করার অভিযোগে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল বাতেনকে মেয়রের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে সরকার।

তিনি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও পাবনা-১ আসনের সাংসদ শামসুল হকের ভাই। টানা ২১ বছর বেড়া পৌরসভার মেয়র পদে রয়েছেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কয়েক মাস আগে জেলা আওয়ামী লীগ তাকে দলীয় পদ থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে।

করোনার সনদ জালিয়াতিসহ নানা প্রতারণায় জড়িত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদকে গ্রেফতার করা। প্রতারক সাহেদ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য পরিচয় দিয়ে সরকার ও দলের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের অপতৎপরতায় লিপ্ত ছিলেন।

তদবির-বাণিজ্যে যুক্ত হয়ে বিপুল অর্থসম্পদের মালিক বনে যাওয়া যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়ার বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থানে ছিল সরকার।

সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুল মানব পাচারে অভিযুক্ত হয়ে কুয়েতে গ্রেফতারের ঘটনায়ও কঠোর সরকার। পাপুল ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামের অবৈধভাবে বিপুল সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধান, ব্যাংক হিসাব এবং স্ত্রী-শ্যালিকাসহ অনেকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সংসদে বলেছিলেনন, ‘ওই সংসদ সদস্য (পাপলু) কুয়েতের নাগরিক কিনা, তা নিয়ে কুয়েতের সঙ্গে কথা বলছি। বিষয়টি দেখব। যদি এটা হয়, তাহলে তার ওই আসনটি (লক্ষ্মীপুর-২) খালি করে দিতে হবে। যেটা আইন আছে, সেটাই হবে। আর তার বিরুদ্ধে এখানেও তদন্ত চলছে।’

গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুবলীগের প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকাণ্ডের ঘটনা আলোচনায় আসে। ক্যাসিনোকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়।

একইভাবে নির্মাণ খাতের গডফাদার জিকে শামীমসহ যুবলীগ, কৃষক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের আরও কয়েক নেতার ঠাঁই হয় কারাগারে।

পদ হারান তৎকালীন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ।

প্রায় একই সময়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ আসার পরে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে অপসারণ করা হয় পদ থেকে।

এছাড়া সিলেটের এমসি কলেজ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি পিনু খান এমপি থাকাবস্থায় তার পুত্র বখতিয়ার আলম রনি ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের রাস্তায় রিকশার জট দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালান।

এতে নিরীহ দুই ব্যক্তি মারা যান। এতে রনিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ছেলের এ অপকর্মের কারণে সে সময় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ পড়েছিলেন পিনু খান।

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।

আলোচিত এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ স্থানীয় প্রভাশালী বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার নাম আসে। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ১৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারধর করার পর দু’পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল।

এ ঘটনায় পৌর মেয়র হালিমুল হক মীরু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কেএম নাসির উদ্দিনকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পরে তাকে গ্রেফতারও করা হয়।

টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহম্মেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি দলীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা এবং টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আওয়ামী লীগের সদস্য জাহিদুর রহমান খান কাকনকে বহিষ্কার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ও উপাসনালয় দু’দফা হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। রাজধানীর গুলিস্তানে হকার উচ্ছেদের সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেনের অস্ত্রবাজির ছবি পত্রিকায় প্রকাশের পর তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।

Check Also

বরিশাল ডিভিসন এ্যসোসিয়েসন এর পক্ষ থেকে বার্ষিক বনভোজন

বরিশাল ডিভিসন এ্যসোসিয়েসন এর পক্ষ থেকে বার্ষিক বনভোজন ও মিলন মেলা গতকাল ফক্সটন সমুদ্র সৈকতে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *