গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি(চুরি) প্রমাণিত হওয়ায় সামিয়া রহমানসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষকের শাস্তি নির্ধারণে দুটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের নিয়মিত এক সভায় তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিন শিক্ষকের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান এবং অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানে যৌথভাবে লেখা ৬টি একাডেমিক গবেষণা-নিবন্ধে ৬০-৮০ শতাংশ করে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ড. মুহাম্মাদ ওমর ফারুকের পিএইচডি থিসিসে জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রোভিসি (শিক্ষা) এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, সামিয়া রহমান ও সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অধ্যাপক রহমতুল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এইদিকে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। বৃহস্পতিবার মাউশি’র ওয়েবসাইটে এই সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। dshe.gob.bd- ওয়েবসাইটে গেলে এই সিলেবাস পাওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আঞ্চলিক উপ-পরিচালকদের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত এই সিলেবাস দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে পরবর্তী দুই মাসের (নভেম্বর ও ডিসেম্বর) মধ্যে ৩০ কার্যদিবসে সিলেবাস অনুযায়ী পাঠদান শেষ করবে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত এই সিলেবাস তৈরি করেছে। এরপর তারা সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। পরে মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট অধিদফতরে পাঠানো হয় এই সিলেবাস।
শুধু শিক্ষার্থীদের শিখন যোগ্যতা অর্জনের জন্য এই সিলেবাস করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মাউশি’র এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, পরবর্তী ক্লাসের প্রয়োজনীয়তার ওপর নির্ভর করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। এই সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা বা মূল্যায়ন করে ফলাফল নির্ধারিত হবে না। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণ এবং কোথায় সমস্যা রয়েছে, তা চিহ্নিত করবে এই সিলেবাস।