বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আছে। সংসদ হল ভোট ডাকাতদের অভয়ারণ্য। তারা মুক্তিযুদ্ধের ও স্বাধীনতার মূল চেতনা গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা বিনষ্ট করেছে। আজকে দেশের সার্বভৌমত্ব আছে কিনা দেখা যায় না। আজকে আমরা ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়েছি।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের ‘অবৈধ’ অব্যাহতির প্রতিবাদ এবং চলমান খুন-ধর্ষণের পৃষ্ঠপোষকদের বিচারের দাবিতে’ সমাবেশের আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো কাবিননামা তথা ভোট দেয়ার সম্পর্ক নেই। সুতরাং তাদের তালাক দেয়া যাবে না। বরং বিতাড়িত করতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেন, ভিন্নমতের কারণে অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সে পত্রিকায় কলামে সত্য কথা লিখে মতপ্রকাশ করেছে। আজ তাকে যারা চাকরিচ্যুত করেছে তাদেরও একটা সময় চাকরিচ্যুত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, অধ্যাপক মোর্শেদ কলাম লিখে তো অন্যায় করেনি। কলামে যে কথা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সেটা তিনি সঙ্গে সঙ্গেই প্রত্যাহার করেছে। তবুও তাকে ধরা হল। তাকে অব্যাহতি দিয়ে চরম অন্যায় ও মানবাধিকার লংঘন করা হয়েছে। তাকে পুনর্বহাল করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, তাঁতীদলের কাজী মনিরুজ্জামান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক নেতা জহির উদ্দিন তুহিন, জাতীয় মুক্তমঞ্চের ইসমাইল তালুকদার খোকন প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসান, শামসুল আলম রানা, কাজী মোক্তার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এইচএম আবু জাফর, তরিকুল ইসলাম, এনামুল হক, ইডেন কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব সানজিদা ইয়াসমিন তুলি প্রমুখ।