প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সাথে সংঘাত সেই নতুন কিছু না।নাফ যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে বুজেছিলো বাংলাদেশ কি জিনিস।কিন্তু কথায় আছে “যার ৯ তে হয়না,তার ৯০ তেও হয়না”। তারা এমনই।
দীর্ঘদিন সেনাশাসনের মধ্যে থেকে দেশের অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত উন্নতি করতে পারেনি।তবে বাজেটের মোটা অংশই সামরিক বাহিনি তে খরচ করে।তার পেছনে কারনও আছে।মিয়ানমারে একাধিক সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী রয়েছে।যাদের দমানোর চেষ্টা করে গেলেও ফলাফল ফলপ্রসূ হয় না।এজন্য সামরিক বাহিনীর খরচ বাড়তি।
২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা সমস্যার পর থেকে মিয়ানমার বার বার যুদ্ধের উস্কানিমূলক কাজ করলেও বাংলাদেশ নিজের অবস্থানে দৃঢ়। জানা দরকার বাংলাদেশ কূটনীতিক অবস্থানে মিয়ানমার থেকে অনেক এগিয়ে।কূটনৈতিক মারপ্যাচে মিয়ানমার বাংলাদেশের ধারেকাছেও নেই।
মিয়ানমারের কিছু অনৈতিক আচার-আচরণ এর কারনে দুই দেশের মধ্যেই যুদ্ধের আশংকা করে অনেকে।সবার মনে একটাই প্রশ্ন। কে জিতবে?কে এগিয়ে আছে?মিয়ানমার নাকি বাংলাদেশ?
মিয়ানমার বাংলাদেশ থেকে অনেক বড় দেশ হলেও জনসংখ্যা আর জিডিপির দিক দিয়ে ধারেকাছেও নেই।৬ কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে তাদের মোট জিডিপি ৭৫ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশের জিডিপি ৩৪৮ বিলিয়ন ডলার। মানে তাদের ৫ গুনের মতো প্রায়।
জিডিপি গ্রোথ, কিংবা রপ্তানির দিক দিয়েও তারা আমাদের থেকে অনেক পিছিয়ে।কিন্তু এই ক্ষুদ্র অর্থনীতি নিয়েও তাদের সবসময় আগ্রাসী মনোভাব। কথায় আছে,
বয়স খানা অর্ধশতের কাছাকাছি
চলছে তবু পুতুল বিয়ের নাচানাচি।
এই ক্ষুদ্র জিডিপি,একাধিক সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আর পাশে চিরশত্রু থাইল্যান্ড থাকা সত্বেও তারা বাংলাদেশের সাথে আগ্রাসী মনোভাব দেখায়।
যুদ্ধ করার জন্য অস্ত্র উৎপাদন ক্ষমতা থাকা লাগে।কেনা অস্ত্র দিয়ে খুব বেশীদিন মাঠে থাকা যায় না,সরন্জাম পুরিয়ে আসে।আর উৎপাদন ক্ষমতা না থাকলে কেনার মতো ক্ষমতা থাকা লাগে।তাদের এই ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশে যুদ্ধাবস্থা শুরু হলে এর পেছনে টাকা খরচ করার মতো অবস্থা খুব বেশী নেই।
এইতো গেলো অর্থের কথা।প্রতিবেশী দেশের সাথে যুদ্ধাবস্থা শুরু হলে তাদের অভ্যন্তরিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীরা বসে থাকবে না।তাদের অনেক দিনের দাবী পূরন করতে আর খুব বেশী সময় লাগবে না।
নিরস্ত্র বাঙালি ৭১ এ পাকিস্তান কে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে হারিয়েছে।নাফযুদ্ধে মিয়ানমার নিজেই পিছু হটে শান্তি চুক্তি করতে বাধ্য হয়েছে।।সীমান্ত যুদ্ধে ভারতও হেরে নাকানিচুবানি খেয়েছে বাংলাদেশের সাথে।বাঙালি হারতে জানে না।
অর্থনৈতিক দিক থেকে আমরা মিয়ানমার থেকে অনেক এগিয়ে।বাংলাদেশের জলসীমায় স্ট্রাইক বা আঘাত করা তাদের পক্ষে স্বপ্নের মতো ব্যাপার।বাংলাদেশে আর্মি এক পেশাদার বাহিনী। সেটা শান্তিরক্ষা মিশনের কথা মনে করলেই উত্তর পেয়ে যাবেন।
বিমানবাহিনী কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও তাদের কার্যকলাপ থেমে নেই।নতুন নতুন সরন্জাম যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায়। এমআরসিএ কেনার প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় তা এখনো আসেনি।শীগ্রই আমরা হয়তো এই ব্যাপারে সুসংবাদ শুনতে পাবো।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাহীনি বাংলাদেশ আনসার।যার সংখ্যা ৬০ লাখের মতো।যারা রিজার্ভ সৈন্য, যুদ্ধকালীন সময়ে সামরিক বাহিনীকে সাহায্য করবে তারা।