রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলনকে ওএসডি করা হয়েছে। আজ ৬ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে এই তথ্য জানানো হয়। মাহবুব কবির মিলন নিজেও সোশ্যাল সাইটে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রেলওয়ের যাত্রীসাধারণের কাছে মাহবুব কবির মিলন বেশ জনপ্রিয় একটি নাম। রেলকে জনবান্ধব করতে তিনি বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। এর মাঝে আছে, টিকিট কাটতে এনআইডি বাধ্যতামূলক করা, অনলাইনে টিকিটের টাকা রিফান্ড করা, রেলসেবা অ্যাপের মাধ্যমে ফটো/ভিডিও যুক্ত করে তাৎক্ষণিত অভিযোগ প্রদানের ব্যবস্থা ইত্যাদি।
এছাড়া মাহবুব কবির মিলনের প্রচেষ্টার কারণে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা বিকাশ তাদের নিরাপত্তায় ব্যাপক পরবর্তন এনেছে। এর ফলে প্রতারকেরা আর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরির সুযোগ পাবে না। এছাড়া তিনি চলতি বছর কোনোরকম দুর্নীতি ছাড়া রেলে বিপুল পরিমাণ নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আগামী বছরও নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল।
এসব পরিবর্তনসহ অনেক অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি সোশ্যাল সাইট এবং বাস্তবে সবসময় সরব থাকতেন। এদেশে ভালো কাজ করলেই সোজা বান্দরবান বদলির রেওয়াজ আছে। অল্প কয়েকদিনে রেলের যে লক্করঝক্কর চেহারা পাল্টিয়ে দিয়েছেন তার জন্য আপনাকে মন থেকে ধন্যবাদ। আপনার এইটুকু কাজ আজীবন মনে রাখবে সবাই।
ঘুণে ধরা রেলওয়েকে সাম্প্রতিক সময়ে, কয়েকমাসে প্রশংসায় ভাসানো রেলের অতিরিক্ত সচিবকে পুরস্কার স্বরূপ ওএসডি করা হলো। ভালো মানুষের দাম নেই! হয়তো তিনি রেলকে আন্তর্জাতিক মান উপহার দিতে পারতেন। শুভকামনা সিন্ডিকেট সামনে ১৫ হাজার নিয়োগ!
যারা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে কালো বিড়াল বলতেন তাদের এ ব্যাপারে আরেকবার ভাবা উচিৎ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও চেষ্টা করেছিলেন রেলকে একটা ভালো অবস্থায় নিয়ে আসতে,কিন্তু কী হলো?
মাত্র ৭০ লাখ টাকার দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে দেশের ব্রিলিয়ান্ট পার্লামেন্টারিয়ানকে হেস্তনেস্ত করা হলো। আসল কথা হলো রেলের উন্নয়ন করা যাবেনা, রেলকে জনবান্ধব করা যাবে না, এতে অন্য সেক্টরে যাত্রী কমে যাবে, সিন্ডিকেটের পকেট খালি হয়ে যাবে, সাবাশ বাংলাদেশ, সততার পুরস্কার ওএসডি। সুজন,কল্যাণপুর ঢাকা