বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা আবদুল হক (৫৮) ও ফেনী জেলা শাখার মহিলা রুকন ও জেলা শাখার সহকারী মোয়াল্লিমা আয়শা জামিলা (৩৮) রোববার ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মাওলানা আবদুল হক রোববার সন্ধ্যা পৌণে ৭টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তার স্ত্রী, ৩ পুত্র ও ৪ কন্যা রয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় পশ্চিম ইসলামপুরস্থ তার নিজ গ্রাম পাড়ুয়া নওয়াগাওয়ে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আয়শা জামিলা রোববার সকাল ১০টায় নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। তার স্বামী, ২ পুত্র ও ১ কন্যা রয়েছে। গতকাল রাত ৮টায় আল জামেয়াতুল ফালাহীয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে ১ম জানাযা এবং লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার গন্তব্যপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে রাত সাড়ে ১০টায় ২য় জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মাওলানা আবদুল হক ও আয়শা জামিলার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান আজ শোকবাণী প্রদান করেছেন।
আবদুল হককে নিয়ে শোকবাণীতে তিনি বলেন, মাওলানা আবদুল হকের ইন্তেকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন দাঈকে হারালাম। তিনি ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন। আমি তার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। আল্লাহ তায়ালা তার সকল দ্বীনি খেদমত কবুল করে ও তার ভুল-ত্রুটিসমূহ ক্ষমা করে দিয়ে তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দান করুন এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তার শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।
আয়শা জামিলাকে নিয়ে দেয়া শোকবাণীতে তিনি বলেন, আয়শা জামিলার ইন্তেকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন দাঈ বোনকে হারালাম। তিনি একজন মুয়াল্লিমা হিসেবে মহিলাদের মাঝে সহি-শুদ্ধভাবে কুরআন পড়ার চেষ্টা করে গিয়েছেন। আমি তার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। আল্লাহ তায়ালা তার সকল দ্বীনি খেদমত কবুল করে ও তার ভুল-ত্রুটিসমূহ ক্ষমা করে দিয়ে তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দান করুন।
শোকবাণীতে তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাদেরকে এ শোকে ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন।