একজন স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে কোন বিষয়টি সবচেয়ে বেশি কামনা করে? আবেগের দিক থেকে কোন বিষয়টি? তা হলো – অবিরাম ভালোবাসা। ক্রমাগত স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি মনোযোগ দিবে, সবসময় তাকে অগ্রাধিকার দিবে। স্বামী সবসময় দেখাবে যে আমি তোমার কথা সবসময় মনে রাখি। আমি তোমার ব্যাপারে যত্নশীল। মোটকথা, আমি সবসময় তোমাকে ভালোবেসে যাবো। স্ত্রী চায় সে ভালোবাসা অনুভব করতে, সেই স্নেহ অনুভব করতে।
একজন স্ত্রী সবসময় নিশ্চিত থাকতে চায় যে তার স্বামী তাকে ভালোবাসে। তার স্বামী তাকে সবসময় এক নাম্বার হিসেবে অগ্রাধিকার দেয়। যদি সুযোগ থাকতো মহিলারা চাইতো যে, তাদেরকে কোনো একটি বেদির উপর বসিয়ে রাখা হউক, আর তাদের স্বামীরা তাদের দিকে দিন-রাত চব্বিশ ঘন্টা তাকিয়ে থাকুক। তারা তাদের স্বামীর জীবনে এক নাম্বার থাকতে চায়। তাই তারা ক্রমাগত নিশ্চিত থাকতে চায় যে, তাদের স্বামীরা তাদের ভালোবাসে।
ভাইয়েরা যারা এখানে আছেন, মনোযোগ দিয়ে শুনুন। স্ত্রীরা কখনো আপনার ভালোবাসা এমনিতেই আছে বলে মনে করে না। আপনি সেটা মনে করতে পারেন। ছেলেদের জন্য এটা দরকার পড়ে না যে, তার স্ত্রী সবসময় তাকে নিশ্চিত করবে যে সে তাকে ভালোবাসে। ছেলেরা মনে করে যে ভালোবাসা এমনিতেই আছে। সে যে এখনো আমার সাথে সংসার করছে এটা প্রমান করে যে সে এখনো আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু অন্য পক্ষের ক্ষেত্রে এটা এভাবে কাজ করে না।
একজন নারী সবসময় সন্দেহ করতে থাকে – ‘সে কি এখনো আমাকে ভালোবাসে? সে কি এখনো আমার কথা মনে করে? সে কি এখনো আমার ব্যাপারে যত্নবান? সে কি এখনো আমাকে এক নম্বর গুরুত্ব দেয়?’তাই একজন মহিলার এই ব্যাপারে ক্রমাগত নিশ্চয়তা আর শুধু এটা নয়, স্বামীদের আরেকটি বিষয়ে স্পর্শকাতর থাকতে হবে এবং বুঝতে হবে – মহিলারা তাদের সৌন্দর্য নিয়ে খুবই সচেতন থাকে। আর তারা নিজেদের সৌন্দর্যকে অন্য মহিলাদের সৌন্দর্যের সাথে তুলনা করে সব সময়।
আমরা ছেলেরা এটা করি না। আমরা ছেলেরা অন্য ছেলেদের সৌন্দর্য নিয়ে পরোয়া করি না, বা নিজেকে তুলনা করি না। কিন্তু মেয়েরা সবসময় চিন্তা করতে থাকে – “আমার স্বামী কি আমাকে এখনো সুন্দরী মনে করে? সে কি এখনো আমাকে আকর্ষণীয় মনে করে? আমার ওজন মনে হয় বেড়ে গেছে। আমি তৃতীয় সন্তান নেয়ার পর মনে হয় অসুন্দর হয়ে পড়েছি।” সে সর্বদা তার সৌন্দর্য এবং ফিগার নিয়ে সন্দেহ করতে থাকে।
আর তাই স্বামীকে সবসময় এমন আচরণ প্রদর্শন করতে হবে যেন তাঁর স্ত্রী বুঝতে পারে সে তার স্বামীর নিকট সবচেয়ে সুন্দরী, সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত, সবচেয়ে ভালবাসার যোগ্য এবং সবচেয়ে প্রশংসিত। তার স্ত্রী সবসময় এই বিষয়গুলোর নিশ্চয়তা চায়। এখন স্বামী এমনটি কীভাবে নিশ্চিত করবে? আমি কয়েকটি আচরণ তুলে ধরছি। এক নাম্বারঃ কথা, কথা, কথা।
কথার শক্তিকে কখনও ছোট করে দেখবেন না। শুধু এইকথা বলা, “আমি তোমাকে ভালবাসি।” আমি জানি বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর এই কথা বলা পুরুষের জন্য অনেকটা বিব্রতকর। আমি জানি এটা বিব্রতকর। কিন্তু বিশ্বাস করুন, এই কথার জাদু কখনও হারিয়ে যায় না। মহিলাদের কাছে এই কথার মূল্য কখনও হারিয়ে যায় না। তারা সবসময় এই বাক্য শুনতে পছন্দ করে।ড. ইয়াসির কাদি