গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিট বিষয়ে কথা বলতে ঔষধ প্রশাসনে বার বার ফোন দিলেও তারা তা ধরছে না বেলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ করেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল (উপাধ্যক্ষ) এবং কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়ক ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল গণস্বাস্থ্যের করোনা পরীক্ষার অ্যান্টিবডি কিট পরীক্ষা করে তার ফলাফল ঔষধ প্রশাসন অধিপ্তরে জমা দিয়েছে ১৬ জুন। গণস্বাস্থ্যের অভিযোগ, নয় দিন পেরিয়ে গেলেও কিটের অনুমোদন দিচ্ছে না ঔষধ প্রশাসন।
তাদের অভিযোগ, শুধুই তাই নয়, এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থেকে শুরু করে পরিচালক পর্যায়ের কেউ গণস্ব্যাস্থের প্রতিনিধিকে সাক্ষাৎ দিচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক আলোচনা সভায় এ অভিযোগ করেন ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।
তিনি বলেন, ‘আমি গত তিন দিন ধরে মহাপরিচালক থেকে শুরু করে পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। আমি সফল হইনি। সবার সঙ্গে ইমেইলে অ্যাপয়েনমেন্ট চেয়েছি। টেলিফোন করেছি, ধরেন না। সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমেও ফোন করিয়েছি, ধরেন না।
তারা কিছু একটার জন্য অপেক্ষা করছেন বলে মনে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘তবে বুধবার সকালে একজন সহকারী পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তিনি বলেছেন, তাদের সিদ্ধান্ত নিতে একটু দেরি হচ্ছে। তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন।
’মুহিব উল্লাহ বলেন, গতকাল তাদের একজন কর্মকর্তা ঔষধ প্রশাসনে গিয়েছিলেন। কর্মকর্তারা বলেছেন যে, আজকে তো সিদ্ধান্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামী সপ্তাহে হয়ত বা একটা কিছু জানতে পারবেন।