বন্দরকে আরো সুরক্ষিত করতে নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করছে পাকিস্তান। নতুন সাবমেরিন সংগ্রহ ও হাতে থাকা সাবমেরিনগুলো উন্নত করতে সম্প্রতি দেশটি তুরস্ক ও চীনের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
পাকিস্তান আটটি হাঙ্গর (টাইপ০৪২ উয়ান-ক্লাস) সাবমেরিন সংগ্রহের জন্য ২০১৫ সালে চীনের সঙ্গে চুক্তি করে। এর মধ্যে চারটি প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে করাচি শিপেইয়ার্ডে তৈরি হবে।
এর পরের বছর পাকিস্তান তার কাছে থাকা আগস্টা ৯০বি সাবমেরিন উন্নত করার জন্য একটি তুর্কি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। এই প্রকল্পের আওতায় এসটিএম পাকিস্তান নৌবাহিনীর কাছে ডিজাইন ও ইঞ্জিনিয়ারিং পরিষেবা রপ্তানি করবে।
চীন ও তুরস্কের সঙ্গে সাবমেরিন চুক্তিগুলো পাকিস্তান নৌবাহিনীর শক্তি অনেক বাড়িয়ে দেবে। সে এখন তার নৌবাহিনীর জন্য নতুন মিডগেট সাবমেরিন তৈরি করছে। পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (নেভি) ১৯৯০’র দশক থেকেই প্রকাশ্য ও গোপন অভিযান পরিচালনার কাজে কসমস এমজি১১০ মিডগেট সাবমেরিন ব্যবহার করে আসছে।
তবে এগুলো পুরনো হয়ে যাওয়ায় নতুন সাবমেরিন তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা উৎপাদন মন্ত্রণালয়ের ইয়ারবুক আগেই নিশ্চিত করেছিলো যে এবার মিডগেট সাবমেরিনগুলো দেশীয়ভাবেই তৈরি করা হবে। সাম্প্রতিক এক স্যাটেলাইট ছবিতেও তেমন আভাস পাওয়া গেছে।
২০১৬ সালের ছবিতে একটি সাবমেরিনকে তাবু দিয়ে আড়াল করে রাখতে দেয়া যায়। ২০১৯ সালের ছবিতে দেখা গেছে তাবুটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এতে বুঝা যায় নতুন মিডগেট সাবমেরিনের নির্মাণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি সম্ভবত সি ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।
ছোট আকারের এই সাবমেরিন যুদ্ধের সময় আরব সাগরে মোতায়েন করা হবে বলে জল্পনাও শুরু হয়ে গেছে। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা সাবমেরিনটি মাত্র ৫৫ ফুট লম্বা এবং এর বিম মাত্র ৮ ফুট।
তবে ডিসপ্লেসমেন্ট ক্ষমতা এখনো জানা যায়নি। এটি এমজি১১০ থেকে ছোট কিন্তু সুইমার ডেলিভারি ভেহিকেল (এসডিভি) থেকে বড়। আয়তন ও সাধারণ ধরনের হাল নির্মাণ দেখে বুঝা যায় এগুলো সহজেই পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা যাবে।
আকারের কারণে স্থলপথেও এগুলো বহন করে নেয়া যাবে। পাকিস্তান অনেক বছর ধরেই মিডগেট সাবমেরিন ব্যবহার করে আসছে। নতুন সাবমেরিন তার নিজস্ব নির্মাণ সক্ষমতা জানান দিচ্ছে মাত্র। এর মাধ্যমে তারা যে পানির নিচে যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত হচ্ছে সেটাও বুঝা যায়।ইমান২৪.কম