Breaking News

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে কথা বলার অধিকার হরণ করা হচ্ছে- ভিপি নুরুল হক নুর।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে মানুষের কথা বলার মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি অনতিবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দাবি করেছেন।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর প্রেসক্লাবে সামনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে ভিপি নুর বলেন, করোনা সংকটের মধ্যে গোটা বিশ্বই যেখানে মানবিক হয়ে উঠেছে সেখানে এই সরকার তার ফ্যাসিবাদী, স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ অব্যাহত রেখেছে। আজও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ফাঁদে বিনা কারণে অসংখ্য মানুষকে হয়রানী করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করায় সাধারণ মানুষকে জেলে বন্দী করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী কেউই এই আইনী ফাঁদ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, শুরু থেকেই শিক্ষক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, মানবাধিকার কর্মীসহ অনেকেই এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চেয়েছেন। সম্পাদক পরিষদও আইনটির বেশ কয়েকটি ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছিল কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে আসিনি, আমরা আমাদের অধিকার আদায় করতে এসেছি। সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিন। এই কালো আইন বাতিল করুন।

ভিপি নুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় মুক্ত গণতন্ত্র চর্চার তীর্থ ভূমি। অথচ আজ সরকার তথা সরকারী দলের নেতাকর্মীদের সমালোচনা করায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে। একজন ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আমি এর প্রতিবাদ জানাই। প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে আমরা একত্রিত হতে পারছি না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খুললে এ মামলাবাজ, অথর্ব এবং দলকানা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। কাজেই আটককৃত ছাত্রসহ সকলকে মুক্তি দিন এবং আইনটি বাতিল করুন।

ছাত্র অধিকার পরিষদের পাঁচ দফা দাবি হলো, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও কালো আইন বাতিল করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সকল হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। মোবাইল ও ইন্টারনেটের আরোপিত নতুন কর এবং গণপরিবহনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করতে হবে। করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার সরকারকে নিতে হবে এবং করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের তালিকা করে খাদ্যসহায়তা দিতে হবে।

অন্যান্যের মধ্যে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান, মোঃ সোহরাব হোসেন, মিনা আলামিন, আবু হানিফ, মোঃ তারেক রহমান, মাহফুজুর রহমান খান। যুব অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক আবু তৈয়ব হাবিলদার, নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমানসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

Check Also

অধ্যাপক গোলাম আযম একটি নাম, একটি ইতিহাস

অধ্যাপক গোলাম আযম একটি নাম, একটি ইতিহাস। তিনি বিশ্বনন্দিত ইসলামী চিন্তাবিদ, ভাষা আন্দোলনের নেতা, ডাকসুর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *