পৃথিবীর ২২ জন ‘লিভিং ঈগলের’ অন্যতম বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) সাইফুল আজমের মৃ’ত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে ফি’লিস্তিনেও।
বাংলাদেশের এই বীর বৈমানিককে ই’সরাইলবি’রোধী প্র’তিরোধের অনু’প্রেরণা মনে করেন ফিলিস্তিনিরা। ১৯৬৭ সালে ৬০ দিনের যু’দ্ধে তিনিই একমাত্র বৈমানিক, যিনি চার-চারটি ইসরাইলি যু’দ্ধবিমানকে ভূ’পাতিত করেন। আল-জাজিরা।
সাইফুল আজমের মৃ’ত্যুতে শো’ক জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফি’লিস্তিনি ইতিহাসবিদ ওসামা আল আসগর। সেখানে তাকে মহান বৈমানিক আখ্যা দেন তিনি।
ই’সরাইলের আ’গ্রাসন থেকে পবিত্র আল আকসা মসজিদ র’ক্ষায় ফিলিস্তিনিদের স’হায়তা করায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অবদান রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন আসগর।
টুইটারে এক শো’কবার্তায় ফি’লিস্তিনি অধ্যাপক নাজি শুকরি লেখেন- ‘ফি’লিস্তিনকে ভালোবাসতেন সাইফুল আজম, জেরুজালেমকে রক্ষার জন্য ল’ড়াই করেছেন তিনি।’
এছাড়া ফিলিস্তিনের প্রখ্যাত সাং’বাদিক তামের আল মিশালও সাইফুল আজমের অসামান্য সাহসিকতার প্র’শংসা করেছেন।
১৯৬৭ সালের ৫ জুন জর্ডানের মাফরাক বি’মানঘাঁটিতে হা’মলা করতে আসে ই’সরাইলের চারটি যু’দ্ধবিমান। হা’মলা প্র’তিহতের দায়িত্ব পান জর্ডান বিমানবাহিনীতে কর্মরত সাইফুল আজম।
ইসরাইলের দুইটি যু’দ্ধবিমানকে ভূ’পাতিত করে একাই তাদের রুখে দেন তিনি। এর দু’দিন পর তিনি বদলি হয়ে যান ইরাকে। সেখানেও বি’মানঘাঁটি র’ক্ষার দায়িত্ব পান তিনি।
এ সময় ইসরাইলের আরও দুটি বিমান ভূ’পাতিত করেন তিনি। তার এ অবদানের জন্য জর্ডান ও ইরাকের পক্ষ থেকে তাকে সামরিক পুরস্কারে ভূ’ষিত করা হয়।
আর যু’দ্ধবি’মান চালনায় অসাধারণ দ’ক্ষতাকে স্বী’কৃতি দিয়ে ২০০১ সালে তাকে লিভিং ঈগল উপাধি দেয় যু’ক্তরাষ্ট্র।