Breaking News

কালাপানি বিরোধ: ভারত সীমান্তে আরো সেনা মোতায়েন করবে নেপাল

ভারতের সঙ্গে সীমান্তে নেপাল আরো নিরাপত্তা চৌকি নির্মাণ ও আরো সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করবে। নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গিওয়ালী রোববার (১০মে) এ কথা বলেন।

এই সিনিয়র মন্ত্রী বলেন যে, তার দেশ আশা করে, ভারত কালাপানি এলাকায় একতরফা তৎপরত পরিহার করবে এবং অতীতের আলোচনাগুলোতে একমত হওয়া ‘স্থির সীমান্ত’ নীতিতে অটল থাকবে।
গিওয়ালী বলেন, ভারতের তুলনায় আমাদের দিকে নিরাপত্তা চৌকি সংখ্যা কম। আমাদের এখন মাত্র ১২০টির মতো সীমান্ত চৌকি রয়েছে। শিগগিরই আমরা এর সংখ্যা বাড়াবো।

শুক্রবার (৮মে) ভারত লিপুলেখ গিরিপথে একটি সড়ক উদ্বোধন করে। এর প্রতিবাদে শনিবার নেপালজুড়ে প্রবল বিক্ষোভ দেখা দেয়। ওই এলাকাকে নিজের ভূখণ্ড বলে মনে করে নেপাল। দেশটির পররাষ্ট্র দফতর ভারতের এই কাজের প্রতিবাদ করে। তার পরদিনই নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সীমান্তে সেনা শক্তি বাড়ানোর কথা বললেন।
কঠোর ভাষায় এক প্রতিবাদ লিপিতে নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে যে, লিপুলেখ দিয়ে সড়ক নির্মাণ করে ভারত ‘স্থির সীমানা’ সংশ্লিষ্ট প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।

এর আগে রোববার নেপালের পার্লামেন্টে গিওয়ালী জানান, তার সরকার দেশের ভৌগলিক অখণ্ডতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, ওই এলাকায় তৎপরতা চালানো থেকে ভারতের বিরত থাকা উচিত।
কালাপানি অঞ্চল নিয়ে ভারত ও নেপালের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। গত বছর ৫ আগষ্ট মুসলিম প্রধান জম্মু-কাশ্মিরের রাজ্য মর্যাদা বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুটি কেন্দ্র শাসিত ভূখণ্ডে পরিণত করার পর ভারত যে নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করে তাতে কালাপানি নিজের ভূখণ্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। অঞ্চলটিকে উত্তরখন্ডের অংশ হিসেবে দেখানো হয়।
গিওয়ালী বলেন, নেপাল ২০১৫ সালে ভারত ও চীন যখন ওই অঞ্চল দিয়ে একটি সীমান্ত বাণিজ্য রুট তৈরি নিয়ে কথা বলছিলো তখন নেপাল দুই দেশের কাছেই প্রতিবাদলিপি পাঠায়। মন্ত্রী বলেন, ওই লিঙ্ক রোড যে ভূখণ্ডের উপর দিয়ে গেছে সেটা ঐতিহাসিকভাবে নেপালের ভূখণ্ড।
তিনি বলেন, ১৮১৬ সালের সুগাউলি চুক্তি অনুযায়ী মহাকালী নদীর পূব দিকের সব ভূখণ্ড নেপালের। আর ১৯৮৮ সালে দুই পক্ষ নেপালের সীমান্ত ঠিক করার ক্ষেত্রে ‘স্থির সীমানা’ নীতি মেনে চলার ব্যাপারে একমত হয়।
‘স্থির সীমানা’ নীতি প্রসঙ্গে গিওয়ালি বলেন, এটা হলো নদীর প্রবাহের উপর ভিত্তি করে সীমান্ত নির্ধারণের ব্যাপারে দুই পক্ষের একমত হওয়া। এটা হলো ঊনবিংশ শতকের মানচিত্রের ভিত্তিতে নদীর প্রবাহ ধরে সীমান্ত নির্ধারণ, অস্থায়ী জনবসতির ভিতিত্তে নয়।

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নেপাল কূটনৈতিক প্রচেষ্ঠার বাইরেও কাজ করবে বলে পার্লামেন্টে জানিয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কো-চেয়ার পুস্প কমল দহল।
তবে গিওয়ালী জানান, কাঠমান্ডু কূটনৈতিক নিষ্পত্তির উপর জোর দেবে এবং তিনি দ্রুত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শুরু করতে নয়া দিল্লির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র: দি হিন্দু।
আগামীনিউজ

Check Also

আফগানে স্থিশীলতা চায় জামায়াত

ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ আফগানিস্তানে তিন যুগের অধিক সময় ধরে চলে আসা অস্থিরতা, সহিংসতায় জান-মাল, ইজ্জত-আব্রুর সীমাহীন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *