Breaking News

যে কারণে করোনা আতংকের মধ্যেও আশুলিয়ায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ!

আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগ তুলে তিনটি কারখানা বন্ধ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। অন্যদিকে কারখানার চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে আশুলিয়ায় ও সাভারে বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে একটি কারখানার শ্রমিকরা।

সোমবার সকালে আশুলিয়ার জামগড়া, ইউনিক, নরসিংহপুর ও সাভারের উলাইল এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। কারখানার শ্রমিকরা জানায়, সোমবার সকালে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার শারমিন গ্রুপের কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়। পরে পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই এমন অভিযোগ তুলে তারা কারখানা থেকে বের হয়ে যায়।

অন্যদিকে ইউনিক এলাকার আঞ্জুমান অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরাও কাজে যোগ দেয়ার পর পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই এমন অভিযোগ তুলে বের হয়ে যায়। নরসিংহপুর এলাকার হা-মীম গ্রুপের শ্রমিকরা সকালে কারখানায় গিয়ে কাজ করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। পরে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে দেয়া হয়।

কারখানাটির মূল ফটকের সামনে আন্তর্জাতিক ক্রয় আদেশ বাতিল, শ্রমিকদের নিরাপত্তা আর স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করার নোটিশ টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়। অন্যদিকে জামগড়ার নেক্সট কালেকশন নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা আজ সকালে কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজ না করে কারখানা থেকে বের হয়ে বিক্ষোভ করতে চাইলে পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দেয়। পরে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়।

এছাড়াও আশুলিয়ার সিগমা ফ্যাশনসের ছাটাইকৃত শ্রমিকরা সকালে কারখানার মূল ফটকের সামনে জড়ো তাদের চাকরি পুনর্বহাল ও কারখানা চালু দাবীতে বিক্ষোভ শুরু করেন। অন্যদিকে সাভারের উলাইল এলাকার কে এল ডিজাইন কারখানার শ্রমিকরা বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতেও বিক্ষোভ করেন।

একাধিক শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র হাত ধোয়া ও মাস্কের ব্যবস্থা করে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন। তাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কাজে যোগ দিতে বললে তারা কারখানা থেকে বের হয়ে বিক্ষোভ করেন বলেও অভিযোগ করেন। বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সরোয়ার হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য বিধির নিয়ম মানছে না অনেক কারখানা কর্তৃপক্ষ।

এ কারণেই শ্রমিকরা কারখানা থেকে বের হয়ে বিক্ষোভ করছেন। তিনি মালিকপক্ষকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে শ্রমিকদের কাজে ফেরানোর আহ্বান জানান। আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার জানে আলম বলেন, কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কাজ না করে বের হয়ে চলে গেছেন।

তবে কারখানায় পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দায়িত্ব মালিকপক্ষের। এসব বিষয়ে তাদের কাছে কেউ জানালে তারা খোঁজ নিয়ে সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়াও যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।

Check Also

অধ্যাপক গোলাম আযম একটি নাম, একটি ইতিহাস

অধ্যাপক গোলাম আযম একটি নাম, একটি ইতিহাস। তিনি বিশ্বনন্দিত ইসলামী চিন্তাবিদ, ভাষা আন্দোলনের নেতা, ডাকসুর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *