Breaking News

আল্লামা সাঈদীর মুক্তির দাবি জানিয়ে ৯ ছাত্রসংগঠনের যৌথ বিবৃতি

বিশ্ববরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে ইসলামী ও সমমনা ৯টি ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রনেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একটি অবিসংবাদিত নাম। সুদীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি দেশে বিদেশে কুরআনের তাফসির করেছেন।

তিনি দুইবার নিজ এলাকা থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা পালন করেছেন। বহু মানুষ তার তাফসির শুনে ইসলামী জীবন-যাপনে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ তাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে। তার মুখে কুরআনের কথা শুনে মানুষ আল্লাহর পথে চলার প্রেরণা পেয়েছে, লাখো তরুণ আলোর দিশা পেয়েছে।

এদেশের সাধারণ তরুণ ছাত্রসমাজকে মাদক, ধর্ষণ, সন্ত্রাস ও অনৈতিক সমস্ত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থেকে জাতির কাক্সিক্ষত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে আল্লামা সাঈদীর তাফসির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি আজ ১০ বছর যাবত কারাগারে বন্দি রয়েছেন। বর্তমানে তার বয়স ৮১ বছর। তার হার্টে ৫টি রিং বসানো এবং তিনি ডায়াবেটিসসহ বাধ্যর্ক্যজনিত নানা জটিল রোগে আক্রান্ত।

বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণে মানুষের মাঝে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় আল্লামা সাঈদীকে নিয়ে মানুষ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইতোমধ্যে দেশের হাজার হাজার আলেম, আইনজীবী, ডাক্তার, শিক্ষক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট্য ব্যক্তিরা আল্লামা সাঈদীর ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁর মুক্তির দাবী জানিয়েছেন।

দল-মত নির্বিশেষে সবাই আল্লামা সাঈদীর মুক্তি চায়। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক দেশ কারাবন্দিদের মুক্তি দিয়েছে। বাংলাদেশেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ধর্মীয়, মানবিক ও বয়সের বিবেচনায় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

আমরা আশা করি সরকার আপামর জনগণের চাওয়াকে মূল্যায়ন করে যত দ্রুত সম্ভব আল্লামা সাঈদীর মুক্তির ব্যবস্থা করবেন। বিবৃতি প্রদানকারী ছাত্রনেতৃবৃন্দ হচ্ছেন- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনসুরুল আলম মনসুর, জাতীয় ছাত্র সমাজের (কাজী জাফর) সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ,

ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি তোফায়েল গাজালি, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রুবেল, ছাত্রকল্যাণ পার্টির সভাপতি শেখ তামিম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি সৈয়দ মো: মহসিন, বাংলাদেশ ছাত্রমিশনের সভাপতি সৈয়দ মো: মিলন এবং জাতীয় ছাত্র পার্টির সভাপতি সোহেল রানা।প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Check Also

Police arrests Jamalpur district Ameer and 13 other party activists; Acting Secretary General of BJI condemns

Acting Secretary General of Bangladesh Jamaat-e-Islami Maulana ATM Masum has issued the following statement on …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *