করোনা ভাইরাস আমাদেরকে কয়েকটি শব্দ খুব ভালোভাবে আয়ত্ব করিয়েছে; মাস্ক, পিপিই, আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটর। পৃথিবীর বড় দেশ এগুলো নিয়ে রীতিমতো একে অপরকে হামলা করার মতো পর্যায়ে পৌছেছে। চীন থেকে জার্মানির কেনা দুই লক্ষ masks থাইল্যান্ড থাইল্যান্ডের ইয়ারপোট থেকে আমেরিকা কতৃক ছিনিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনার খবরও বেরিয়েছে। এমতাবস্থায় তুরস্কে বেশকিছু ঘটনা ঘটেছে যা সত্যিই আশাব্যঞ্জক।
প্রথমত, তুরস্ক সপ্তাহে ৫ টি করে মাস্ক জনগনকে ফ্রি দিচ্ছে। দ্বিতীয়ত: নিজেদের পিপিই নিশ্চিত করার পর বেশকিছু দেশকে পিপিই দিয়েছে এবং দিচ্ছে। তৃতীয়ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে প্রায়শই হাসপাতালগুলোর সর্বশেষ অবস্থা বর্ণনা করেন। তাতে এতো আক্রান্তের পরও এখন পর্যন্ত আইসিইউ বেডের ৪০-৫০% খালি আছে কারণ জনসংখ্যা অনুপাতে পৃথিবীতে সর্বোচ্চ আইসিইউ বেড যে দেশগুলোর রয়েছে, তাদের মধ্যে তুরস্ক অন্যতম।
সবশেষ খবরটি আজকে এসেছে। পুরোপুরি নিজস্ব প্রযুক্তিতে ভেন্টিলেটর তৈরী করেছে তুরস্ক। আজকে ১০০ টি ভেন্টিলেটর নবনির্মিত একটি হাসপাতালকে দেওয়া হয়েছে এবং এখন থেকে প্রতিমাসে ৫ হাজার পিছ তৈরী করতে পারবে। প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের সমন্বয়ে তুরস্কের সবচেয়ে বড় চারটি কোম্পানীর সম্মিলিত প্রজেক্ট আজ সফলতার মুখ দেখেছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আনুষ্টানিকভাবে এগুলোর উদ্ধোধন করেছেন।
এর পাশাপাশি আজ আরও উদ্ধোধন করেছেন ইস্তান্বুলে নির্মিত বাশাকশেহির সিটি হসপিটাল যা ইউরোপে অন্যতম বৃহৎ। ২৬৮২ সাধারণ বেড এবং ৫০০+ আইসিইউ বেডের সমন্বয়ে হাসপাতালিটির সর্বমোট আয়তন ১০ লক্ষ বর্গমিটার। “সিটি হসপিটাল প্রজেক্ট” নামে এরকম বড় বড় ১৮ টি হসপিটাল তৈরীর প্রজেক্ট কয়েকবছর আগে হাতে নিয়েছিল তুরস্ক, যার ১২ তমটির আজ উদ্ধোধন হলো। আর বাকীগুলো আগামীবছরের মধ্যে উদ্ধোধন হবে। পুরোপুরি সেভেন স্টার মানের এই হাসপাতালগুলোর মাঝে সবচেয়ে বড়টি আনকারায় অবস্থিত, যার বেড সংখ্যা ৩৭১১ টি। স্বভাবতই এই হসপিটালগুলো করোনা ভাইরাসে অনেক বড় সেবা দিয়েছে।(তুর্কি প্রবাসী হাফিজুর রহমানের ফেইসবুক ওয়াল থেকে।)