মহান আল্লাহর একান্ত মেহেরবানিতে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার মুক্তিতে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে এক পশলা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে অসংখ্য মানুষ।
একইসাথে আশায় বুক বেধেছে কুরআনের পাখি আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির প্রত্যাশায়। সাঈদী হুজুর বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। কুরআনের এই মুফাচ্ছিরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষিত হলে বাংলাদেশের রাজপথে জনতার ঢল নামে। এমনকি ওই দিন প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন শতাধিক মানুষ। এমন ভালোবাসা বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র ঘটনা তা বলাই বাহুল্য।
আল্লামা সাঈদীর মাহফিলে বিপুল সংখ্যক তরুণ উপস্থিত থাকতেন। দীর্ঘদিন ওয়াজ ও তাফসীর করে তরুণ সমাজের চরিত্র গঠনে অবদান রেখেছেন তিনি। অথচ কুরআনের এই পাখি ২০১০ সাল থেকে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে কারারুদ্ধ অসুস্থ ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান করেছে জাতিসংঘ।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইরান (৮৫ হাজার), সুদান (৪ হাজার), বাহরাইন, আমেরিকাসহ কয়েকটি দেশ নির্বাহী আদেশে হাজার হাজার বন্দি মুক্তি দিয়েছে। বৃটেনও এই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। কারগারে বন্দিদের ভীড় ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে অন্তত অসুস্থ ও বয়োবৃদ্ধ বন্দিদের মুক্তি দিতে মানবাধিকার সংস্থাগুলোও আহ্বান করেছে।
আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী হুজুর ৮১ বছর বয়সী হার্টের রুগি। তিনি একা চলাফেরা করতে পারেন না। আশা করছি জননন্দিত সর্বজন গ্রহণযোগ্য সাঈদী হুজুরের মুক্তির বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সাথে ভেবে দেখবে। কুরআনের খাদেম তার ঘরে ফিরলে মহান আল্লাহ আমাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করবেন ইনশাআল্লাহ।
মাওলানার সুস্বাস্থ্য এবং কল্যাণ কামনা করছি। মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি তিনি যেনো আল্লামা সাঈদীর মুক্তির ব্যবস্থা করে দেন।
মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
আমীর,বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী
ঢাকা মহানগরী উত্তর