Breaking News

অতিরিক্ত গোমূত্র পানে অ’সুস্থ বাবা রামদেব…

অতিরিক্ত গোমূত্র পানে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ভারতের বিখ্যাত যোগগুরু বাবা রামদেব। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে তিনি আতিরিক্ত গোমূত্র পান করেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হচ্ছে। এই দাবির স্বপক্ষে রামদেবের পুরনো কিছু ছবি শেয়ার করছেন অনেকেই।

তবে ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া বাবা রামদেবের অসুস্থ হওয়ার এই খবরের সত্যতা যাচাইয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভাইরাল হওয়া ছবিটি আসলে ২০১১ সালের। কালো টাকার বিরুদ্ধে টানা অনশন করা রামদেব যেদিন তা প্রত্যাহার করেন, সেদিন হাসপাতালে ওই ছবি নেয়া হয়েছিল। একটানা অনশনে থাকার ফলে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সুতরাং করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে রামদেবের গোমূত্র খাওয়ার দাবিটি সত্য নয়।

বর্তমানে বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এই মারণ-ভাইরাসের লাগামহীন বিস্তার ঠেকাতে এবং প্রতিষেধক তৈরির জন্য রাত-দিন একাকার করে ফেলছেন বিজ্ঞানীরা। তবে সম্প্রতি হিন্দু ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাজৈনৈতিক দল হিন্দু মহাসভা করোনা ঠেকাতে গোমূত্র একমাত্র মহৌষধি বলে দাবি করেছে। এক বিজেপি নেত্রীও করোনা থেকে বাঁচতে গোমূত্র পান করার কথা বলেন।

রামদেবের অসুস্থ হওয়ার খবরের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করছেন অনেকে। যেখানে দেখা যায়, হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন রামদেব। ছবি দেখে প্রাথমিকভাবে যোগগুরু অসুস্থ বলেই মনে হচ্ছে। তাকে ঘিরে রয়েছেন অনুগামীরাও।

ইংরেজিতে Baba Ramdev Weak Hospital লিখে গুগল-সার্চ করলে দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশিত আসল ছবিটির সন্ধান মেলে। ওই খবর অনুযায়ী, দেরাদুনে অনশন ভাঙার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রামদেবকে। ২০১১ সালের ১২ জুন ওই ছবিটি তোলা হয়।

এছাড়াও বাবা রামদেবের মুখপাত্র তিজারওয়ালা এসকের গত ৫ মার্চের একটি টুইট সাম্প্রতিক জল্পনায় জল ঢেলেছে। তিনি লিখেছেন, এসবই ভুয়া খবর। লজ্জারও বিষয়। সম্মাননীয় রামদেব সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। বিভিন্ন খবরের চ্যানেলকেও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তখন থেকে বিশ্বের শতাধিক দেশে এই ভাইরাস সংক্রমণ ঘটিয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৯৮ জন এবং ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ হাজার ৪৩৬ জন।

Check Also

আফগানে স্থিশীলতা চায় জামায়াত

ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ আফগানিস্তানে তিন যুগের অধিক সময় ধরে চলে আসা অস্থিরতা, সহিংসতায় জান-মাল, ইজ্জত-আব্রুর সীমাহীন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *