বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণকারী করোনা ভাইরাস থেকে দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর হেফাজত কামনায় দোয়া মাহফিল করেছে সিলেট মহানগর জামায়াত। কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে শুক্রবার বাদ আসর নগরীতে উক্ত দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ এর হেফাজত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও মাহফিলে দেশ-জাতির মঙ্গল ও সমৃদ্ধি এবং ইসলামী আন্দোলনের সাফল্য কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
মোনাজাত পরিচালনা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্র্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ, সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মো: আব্দুর রব, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল মুকিত, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শাকুর, হাফিজ মশাহিদ আহমদ, ক্বারী আলাউদ্দিন, এডভোকেট আলিম উদ্দিন, মাওলানা ড. এএইচএম সুলায়মান, মু. আনোয়ার আলী, শামীম আহমদ ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরী সভাপতি মামুন হোসাইন প্রমূখ।
মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, বিভিন্ন বিপদ-মুসিবৎ দিয়ে মুলত আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ঈমানদারকে পরীক্ষা করেন এবং অবিস্বাসীদেরকে শাস্তি প্রদান করেন। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের উপর জুলুম ও নির্যাতন করা হচ্ছে। অপরদিকে অনেক ক্ষেত্রে মুসলমানরাও আজ ইসলামের সুমহান আদর্শ হতে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে।
ইসলামের সামাজিক বিধি-বিধান সমুহ মেনে চললে অধিকাংশ সময়ই এই সকল ব্যাধী ও মহামারী হতে নিজেকে হেফাজত করা সম্ভব। এমতাবস্থায় সকলকে এই বিপদ-মুসিবতের হাত হতে বাঁচার জন্য সবাইকে কোরআন ও সুন্নাহকে আরও দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে। সেইসাথে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে বাংলাদেশের জনগনসহ বিশ্ববাসীকে হেফাজত করার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সাহায্য কামনা করেন।
তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের ফলে সারা বিশ্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে আমাদেরকে আরোও সচেতন হতে হবে। মানবতার মুক্তিদূত মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ”। এই হাদীসের আলোকে সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।
বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা এবং প্রয়োজনে হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহার করা, হাত দিয়ে নাক বা মুখ ঘষা থেকে বিরত থাকা, আক্রান্ত ব্যক্তি হতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহারের পরে তা ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া, অসুস্থ পশু-পাখির সংস্পর্শে না আসা, মাছ-মাংস ভালভাবে রান্না করে খাওয়া এসকল বিষয় সবাইকে মেনে চলতে হবে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সকল জামায়াত নেতা-কর্মীদেরকে দেশবাসীর পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে।