ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) নতুন নির্বাচন দাবি করে মামলা দায়েরের পর এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেও (ডিএসসিসি) নতুন নির্বাচনের দাবিতে মামলা করেছেন ইশরাক হোসেন। আজ মঙ্গলবার (৩ মার্চ) ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করা হয়। ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য এই ট্রাইব্যুনালের বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি ডিএসসিসির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন। মামলায় গত নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তা বাতিলযোগ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। গত নির্বাচন বাতিল, নির্বাচনী ফলাফল বাতিল ও নতুন নির্বাচনের ঘোষণা চাওয়া হয়েছে। এই মামলার সমস্ত খরচও বিবাদীদের দিতে হবে বলে নির্দশনাও চাওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আইনগত যেসব প্রতিকার বাদী ইশরাক হোসেন পেতে পারেন, সেই ঘোষণাও চাওয়া হয়েছে। মামলায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালযের যুগ্ম সচিব ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম, আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নির্বাচনে জয়ী) শেখ ফজলে নুর তাপস ও আরো যাঁরা প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁদেরসহ মোট আটজনকে বিবাদী করা হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল কোনো আদেশ দেননি।
মামলায় বিভিন্ন কেন্দ্রের নানা অনিয়ম তুলে ধরা হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি কম, কেন্দ্রে কেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোসহ অসংখ্য অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি নির্বাচনে দুর্নীতিরও আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদী গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কিন্তু তিনি দেখেছেন, নির্বাচনে নির্বাচনী বিধিমালা মেনে চলা হয়নি।
অপর পক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর আগে গতকাল সোমবার (২ মার্চ) ডিএনসিসি নির্বাচনে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তা বাতিল চেয়ে ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ওই নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে মো. আতিকুল ইসলাম ও
শেখ ফজলে নুর তাপস নির্বাচিত হন। ইশরাক হোসেনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ, আহমেদ তালুকদার ও তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। অ্যাডভোকেট তৌহিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাই নির্বাচন বাতিল করার জন্য মামলা করা হয়েছে।