Breaking News

এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক এর মাত্র সাড়ে তিন বছরের অসংখ্য কীর্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু তুলে ধরা হলো।

এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক এর মাত্র সাড়ে তিন বছরের অসংখ্য কীর্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু তুলে ধরা হলো।

চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি ইতিহাসে আর কোনো নেতা বাংলায় আসে নি যে মাত্র সাড়ে ৩বছরে এত জনপ্রিয়তা পেয়েছে,সেটা নিশ্চয়ই এমনি এমনি পায় নি।ইনিই বাংলার ইতিহাসে একমাত্র নেতা যার নামে কলঙ্ক নেই।

১. আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ফেলে ইন্ডিরার কাছ থেকে বছরে ৪০০০০ কিউসেক পানি আদায় করে নিয়েছিলেন সোজা মেরুদন্ডের এই যোদ্ধা।

২. বাংলাদেশ মহিলা পুলিশ জিয়াউর রহমানই প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৭৬
সালের ৮ ই মার্চ ।

৩. মাদ্রাসার সিলেবাসে সায়েন্স , ইংরেজী , সমাজবিজ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
৪. মধ্যপ্রাচ্যে শ্রম বাজারের ENTRY CHANNEL টিও খুড়ে দিয়ে গেছেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৬ এ প্রথম জিয়াউর রহমান ৬০০০ শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাঠান। সেই ৬০০০ হাজার আজ ৭০০০০০০ !

৫. আজ মুক্তাঙ্গনে রাজনৈতিক সমাবেশ হয়, সেই মুক্তাঙ্গনও জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবার জন্য।

৬. বিটিভির কালার ট্রান্সমিশন জিয়াউর রহমান চালু করেন যখন ভারতেও রঙীন সম্প্রচার শুরু হয়নি।

৭. বিখ্যাত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ” যদি কিছু মনে না করেন ” নির্মাতা ফজলে লোহানী কে লন্ডন থেকে দেশের মাটিতে নিয়ে আসেন জিয়াউর রহমান

৮. বিটিভির ২য় চ্যানেল চালু করেছিলেন জিয়া যা এরশাদ বন্ধ করে দিয়েছিলো….
৯. জিয়াউর রহমানের সরাসরি নির্দেশে নতুন কুড়ি , স্কুল বিতর্ক অনুষ্ঠান গুলো চালু হয় বিটিভিতে…..

১০. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একাংশে শাহবাগের জাতীয় শিশুপার্কটি জিয়াউর রহমান করে গেছেন…..

১১. জাতীয় শিশু পুরস্কার , জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার , স্বাধীনতা পুরস্কার , একুশে পদক এগুলো জিয়াউর রহমান চালু করেছেন……

১২. ১৯৭৯ ‘র আগ পর্যন্ত একুশের বই মেলা ছিলো গাছতলার ছন্নছাড়া মেলা।
জিয়াউর রহমানই বইমেলাকে বাংলা একাডেমীর দায়িত্বে নিয়ে আসেন ১৯৭৯ তে।
সে বছর থেকেই একুশের বই মেলা রাষ্ট্রীয় ভাবে পালিত হচ্ছে……

১৩. এফডিসির জন্যও জিয়াউর রহমান গাজীপুরে জমি বরাদ্দ করে গেছেন …..
১৪. রাষ্ট্রীয় অনুদানে সুস্থ চলচ্চিত্র নির্মান করার বিষয়টা জিয়াউর রহমানই চালু করেছেন….
১৫. বাকশালে চাকরী চ্যুত সাংবাদিকদের চাকরীর ব্যবস্থা করার জন্য রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন “দৈনিক বার্তা” যেখানে চাকরী করেছেন কামাল লোহানীও

১৬. জাতীয় সংসদের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ১ম বারের মত নারী আসন বাড়ানো
১৭. ২৭৫০০ পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ করে গ্রামীণ জনগণের চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধিকরণ
১৮. কলকারখানায় ৩ শিফট চালু করে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি

১৯. যুব উন্নয়ন মন্ত্রাণালয় ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুব ও নারী সমাজকে সম্পৃক্তকরণ

২০. ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রতিষ্টা করে সকল মানুষের স্ব স্ব ধর্ম পালনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিকরণ
২১. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধন

২২. তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামের জনগণকে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করণ এবং সর্বনিম্ন পর্যায় থেকে দেশ গড়ার কাজে নেতৃত্ব সৃষ্টি করার লক্ষ্যে গ্রাম সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন

২৩. জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আসন লাভ ইত্যাদি।

♥৭১’র মেজর জিয়া, ৭৬’র জেনারেল জিয়া, ৭৮’র প্রেসিডেন্ট জিয়া কোমায় যাওয়া মাতৃভূমিকে সুস্থ সবল করেছেন ।

♣১৯৮১ ‘র ৩০ মে এই ক্ষনজন্মা রাষ্ট্রনায়কের মৃত্যুতে বিশ্বের ইতিহাসে বৃহত্তম শবযাত্রা হয়েছিলো শুধু ঢাকার রাস্তায় ঢল নেমে ছিলো ৩০ লাখ মানুষের।

জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি দেশের আর্থ-সামাজিক মুক্তির লক্ষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি প্রনয়ন করেছিলেন।

১. সর্বতোভাবে দেশের স্বাধীনতা,অখন্ড তা এবং সার্বোভৌমত্ব রক্ষা করা।
২. শাসন তন্ত্রের চারটি মূলনীতি অর্থ্যাৎ সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি সর্বাত্নক বিশ্বাস ও আস্থা,গনতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ,সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার সমাজতন্ত্র জাতীয় জীবনে সর্বাত্নক প্রতীফলন।

৩. সর্ব উপায়ে নিজেদেরকে একটি আত্ননির্ভরশীল জাতি হিসাবে গঠন করা।
৪. প্রশাসনের সর্বস্তরে,উন্নয়ন কার্যক্রমে ও আইন শৃংঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে জনগনের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা।

৫. সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এর ভিত্তিতে কৃষি উন্নয়ন এর মাধ্যমে গ্রামীন তথা জাতীয় অর্থনীতিকে জোরদার করা।

৬. দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন করা এবং কেউ যেন ক্ষুধার্থ না থাকে তা নিশ্চিত করা।
৭. দেশে কাপড় এর উৎপাদন বাড়িয়ে সকলের জন্য অন্তত মোট কাপড় নিশ্চিত করা।
৮. কোন নাগরিক যেন গৃহহীন না থাকে তার যথাসম্ভব ব্যবস্থা করা
৯. দেশকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা। ১০. .সকল দেশ বাসীর জন্য নূন্যতম চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

১১. সমাজে নারীর যথাযোগ্য মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা এবং যুবসমাজ কে সুসংহত করে জাতি গঠনে উদ্বুদ্ধ করা। ১২. দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারী খাতে প্রয়োজনীয় উৎসাহ দান।

১৩. শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতি সাধন এবং উৎপাদন বৃদ্ধির সার্থে সুস্থ শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। ১৪. সরকারী চাকুরীজীবিদের মধ্যে জনসেবা ও দেশ গঠনের মনোবৃত্তি উৎসাহিত করা এবং তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন করা।

১৫. জনসংখ্যা বিস্ফোরন রোধ করা।১৬. সকল বিদেশী রাষ্ট্রের সাথে সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা এবং মুসলিম দেশ গুলোর সাথে সম্পর্ক জোড়দার করা।

১৭. প্রশাসন এবং উন্নয়ন ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরন এবং স্থানীয় সরকার কে শক্তিশালী করা।
১৮. দূর্নীতিমুক্ত,ন্যায়নীতি ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করা।

১৯. ধর্ম,গোত্র ও বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকার পূর্ন সংরক্ষন করা এবং জাতীয় ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ় করা

Check Also

অধ্যাপক গোলাম আযম একটি নাম, একটি ইতিহাস

অধ্যাপক গোলাম আযম একটি নাম, একটি ইতিহাস। তিনি বিশ্বনন্দিত ইসলামী চিন্তাবিদ, ভাষা আন্দোলনের নেতা, ডাকসুর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *