কুরআন মুসলমানদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। ইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নিকট অবতীর্ণ হয় পবিত্র কুরআন। একজন মুসলমান হিসেবে অবশ্যই আমাদের কুরআন পড়া উচিৎ। যুগ যুগ ধরে বহু মানুষ কোরআনের সেবা করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবিকতায় এবার জাতীয় জাদুঘরে মূল্যবান নিদর্শনের তালিকায় যোগ হয়েছে হজরত উসমান (রা.)-র সময়ের হাতে লেখা পবিত্র কোরআন ‘মাসহাফে উসমানি’র একটি ছায়ালিপি।
জাদুঘরের সূত্র জানায়, হজরত উসমানি আমলে চামড়ায় হাতে লেখা পবিত্র কোরআনের এই ছায়ালিপি। বিশ্বে এ ধরনের কোরআন শরিফের পাঁচটি কপি রয়েছে।
কুরআনটির দৈর্ঘ্য ১০ ইঞ্চি। প্রস্থ ১ ফুট। উচ্চতা ৩ ইঞ্চি। ওজন সাড়ে ৭ কেজি। পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩৭২।
উল্লেখ্য, ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান (রা.)-এর শাসনামলে বহু দূর-দূরান্তে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে গিয়েছিল। লোকেরা দলে দলে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেই কুরআনের শিক্ষা ও চর্চায় তৎপর হয়ে পড়েন।
কিন্তু অধিকাংশ নওমুসলিম ছিল অনারবী। তারা কুরআন সুস্পষ্টভাবে তেলাওয়াত করতে পারত না এবং অনেক আরবীও নিজ নিজ আঞ্চলিক ভাষায় কুরআন তিলাওয়াত করত; অথচ কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে মক্কার কুরাইশি ভাষায়। উসমান (রা.) দেখলেন, বিভিন্ন ভাষার কুরআন পড়ার দরুন উম্মাতের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হচ্ছে। তাই তিনি সাহাবীদের পরামর্শক্রমে সব পাণ্ডুলিপি একত্রিত করে কুরাইশি লুগাতের (ভাষা) পাণ্ডুলিপি ছাড়া বাদবাকি পাণ্ডুলিপি নিষিদ্ধ করেন এবং প্রচলিত ‘মাসহাফে উম’ থেকে কপি করে বড় বড় মুসলিম শহরে পৌঁছে দেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হজরত উসমান (রা.)-র সময়ের কুরআন দেখার ও পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।