Breaking News

দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

দেশে বিরাজমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ২০ ফেব্রুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এক ভয়াবহ রূপ লাভ করেছে। দেশের পুলিশ বাহিনী চাঁদাবাজি ও বিনা কারণে সাধারণ লোকদের আটক করে তাদের নিকট থেকে অর্থ আদায়ের অবৈধ পন্থায় লিপ্ত হওয়ার কারণে দেশের নাগরিকগণ চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন।

বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী দেশের বিভিন্ন জায়গায় নাগরিকদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করছেন এবং নির্ধারিত পরিমাণ অর্থ প্রদান না করলে তাদেরকে ক্রস-ফায়ারের হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য এটি অত্যন্ত দু:খজনক। অপর দিকে দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কারণে চুরি-ছিনতাই ও খুন-খারাবি বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার পুলিশ প্রশাসনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারে কারণে পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে, একাধিক জাতীয় দৈনিকে পুলিশের চাঁদাবাজী, ঘুষ ও দুর্নীতির যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা গোটা পুলিশ প্রশাসনের জন্য অত্যন্ত দু:খজনক।
ইতোপূর্বেও দেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও নাগরিকদের ধরে নিয়ে গিয়ে তাদেরকে গুম করে দেয়া হয়েছে এবং দীর্ঘদিন যাবত তাদের কোন খোঁজ-খবর পাওয়া যাচ্ছেনা। সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের জান-মাল, ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রের। সেই রাষ্ট্রের পুলিশ যখন পেশা-দারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে জনগণের রক্ষক না হয়ে ভক্ষকে পরিণত হয় তখন জনগণের যাওয়ার আর কোন জায়গা থাকে না।

আমরা মনে করি দেশের পুলিশ বাহিনীকে পেশা-দারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া দরকার। এ বিষয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমি বলতে চাই যে, গুটি কয়েক পুলিশ অফিসারের জন্য গোটা পুলিশ প্রশাসনের যে দুর্ণাম ও বদনাম হচ্ছে সেটা রোধ করার জন্য সংবাদপত্রে প্রকাশিত অভিযোগগুলোর তদন্ত করে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

আমি আশা প্রকাশ করছি যে, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের সেবক হিসাবে পেশা-দারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করবেন এবং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”

Check Also

Amnesty and HRW urge Bangladesh to immediate release Mir Ahmad, Amaan Azmi

Two human rights organizations – Amnesty International and Human Rights Watch – have urged Bangladesh …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *