নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আসায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।রোববার নির্বাচন ভবনে নিজের দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম একথা বলেন।
এ সময় তিনি রাজনৈতিক দল, প্রার্থী ও ভোটারদের হয়রানি না করতে পুলিশকে অনুরোধ জানান। এদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিএনপি মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ তিনি পেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট নির্বাহী হাকিমকে বিষয়টি ২ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে তিনি কমিশনের কোনো নির্দেশনা পাননি বলে জানান। ডিএনসিসি রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ প্রার্র্থীর আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আউয়াল অভিযোগ করেন, গুলশান পার্কে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিকুল ইসলাম নির্বাচনী মঞ্চ করেন। এ সময় মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে আতিক ভোট চেয়েছেন এবং ভোটারদের কাছে যাওয়ার জন্য কর্মীদের তিনি দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আচরণ বিধিমালার লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে তিনি বলেছেন। কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তা যেন জানতে চাওয়া হয়।’ তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি কেউ লঙ্ঘন করলে প্রার্থী যেই হোক না কেন ব্যবস্থা যেন নেয়া হয়।
তিনি বলেন, প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রার্থী হবেন। এখনও কেউ প্রার্থী নন। তিনি বলেন, আচরণবিধি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য পালনীয়। কারণ তারা মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবশ্যই বলব। কেউ মিছিল করলে, রাস্তা বন্ধ করে প্রচার চালালে তার বিরুদ্ধে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলব।
উত্তরায় এক সংসদ সদস্যকে নিয়ে আতিকুল ইসলাম নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন করেছেন- এখন এটা তিনি করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে রফিকুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্যরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে পারেন না। তবে আইনের একটা ফাঁক আছে। প্রচারে অংশ নিতে না পারলেও ক্যাম্প উদ্বোধন প্রচারের মধ্যে পড়বে কিনা তা আমাদের দেখতে হবে।
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পুলিশ হয়রানি করছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশের কাছে অনুরোধ থাকবে কোনো প্রার্থী, ভোটার, রাজনৈতিক দল কাউকেই যেন হয়রানি না করে। কোনো প্রার্থী গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত হলে পরোয়ানা বাস্তবায়ন করতে পুলিশ বাধ্য।
কিন্তু কেন আগে তা বাস্তবায়ন করেনি। তা বলতে পারব না। এখন হয়তো পেয়েছে তাই করছে। তিনি বলেন, আমি খোঁজ নিয়েছি, তার (বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। গ্রেফতার না করার জন্য বলা হলে তা সরাসরি আদালত অবমাননা হয়ে যায়। এটি কিন্তু নির্বাচন কমিশন কিংবা কেউ করতে পারে না। করা উচিতও নয়।jugantor