ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অনৈতিক কার্যক্রম কোনোভাবে সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ইভিএমে সিকিউরিটি নিশ্চিত করে এ মেশিন কাস্টমাইজ করা হয়। ব্যবস্থাপনার দিক থেকে বলতে পারি, ইভিএমে অনৈতিক কার্যক্রম করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। রোববার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন
ইভিএমে বিএনপির কারচুপির আশঙ্কা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, তারপরেও কেউ যদি রিচেক করতে চায় তাদের আমরা স্বাগত জানাই। আমরা ইভিএম প্রদর্শনীর আয়োজন করব। কারও সন্দেহ থাকলে, তারা এসে দেখতে পারেন। আমরা যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি তাতে আমরা কনফিডেন্ট কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড কারও পক্ষে করা সম্ভব হবে না। কারও কনফিউশন থাকলে আমরা তাদের কাছে পৌঁছে যাব।
ঢাকার দুই সিটিতে প্রায় ৩৫ হাজার ইভিএম ব্যবহার হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৬০০ কেন্দ্র ও ১৪ হাজার ৬০০ বা তার বেশি ভোটকক্ষ থাকবে। আমরা সিটি নির্বাচনের জন্য ইভিএম প্রস্তুত করছি। প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। ভোটারদের প্রশিক্ষিত করতে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছি, লিফলেট, বুকলেট ও টিভি বিজ্ঞাপন তৈরি করেছি।
ইভিএম নিরাপত্তা প্রসঙ্গে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক বলেন, ইভিএমের কারিগরি সহায়তা দেয়ার জন্য প্রতি কেন্দ্রে দু’জন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের জন্য অনুরোধ করেছি। এছাড়া রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলে যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করলে তাদের জন্য সুবিধা হবে সে অনুযায়ী নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগ দেয়া হবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র্যাব-বিজিবি থাকবে।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র কতগুলো, কোন কেন্দ্রের সামনের রাস্তা কী ধরনের- সার্বিক বিষয় বিবেচনা করেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তিনি বলেন, ভোটগ্রহণের দিন ইভিএম নিয়ে কোনো অপব্যবহারের চেষ্টা হবে- এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। যদি কেউ এ ধরনের কিছু করে থাকে সে সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে সে সব কেন্দ্র বা বুথ বন্ধ করে দেয়া হবে। কেউ অপব্যবহার করার চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কমিশন বদ্ধপরিকর।
ইভিএমে রিকাউন্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, লক সিস্টেম থাকবে। কেউ আবেদন করলে সেই সুযোগ রয়েছে। বিধি মোতাবেক সব ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে কেউ পুনরায় কাউন্ট করতে চাইলে কমিশনে আবেদন করতে হবে, পরে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। টোটাল সিস্টেম সংরক্ষণ করা হয়, সেখানে লক সিস্টেম রয়েছে। সেই সিস্টেমে এ তথ্য সংরক্ষিত থাকে। কেউ যদি ভবিষ্যতে এটি দেখতে চায় সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা রয়েছে।jugantor