Breaking News

হামলায় রক্তাক্ত ভিপি নুর, ঢাবি শিক্ষকের আবেগঘন স্ট্যাটাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও তার সঙ্গীদের ওপর বর্বোরোচিত হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে ছাত্রদের ওপর এমন অন্যায় হামলায় ‘লজ্জায় শিক্ষকতা ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করে’ বলে জানান।

রুশাদ ফরিদির আবেগঘন স্ট্যাটাসটি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে। রোববার ডাকসু ভিপি নুরকে তার ডাকসু কক্ষে বাতি নিভিলে পিটিয়ে আহত করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। ছাত্রলীগ এই হামলায় সরাসরি অংশ নেয় বলে অভিযোগ ভিপি নুরের। এ সময় ভাঙচুর করা হয় ডাকসু ভবনের জানালার গ্লাস, ভিপির কক্ষের কম্পিউটার, চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাব।

ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলা হয় ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের দুজনকে। এই হামলায় রক্তাক্ত হন ভিপি নুর, তুহিন ফারাবীসহ অন্তত ৩০ জন। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এ হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন রুশাদ ফরিদি। অ্যাকাউন্টিং বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপক এর আগেও বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এ কারণে তাকে ক্লাস নিতে দেয়া হয়নি।

পরে তিনি সিড়িতে দাঁড়িয়ে ক্লাস নেন। ভিপি নুরের ওপর হামলার ঘটনায় রুশাদ ফরিদির ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘শিক্ষকতা ছেড়ে দেয়ার সময় হয়েছে। চোখের সামনে ডাকসু ভিপি নুরু আর অন্যান্য ছাত্রদের মেরে শেষ করে ফেলা হল। কিছুই করতে পারলাম না। নিজেদের ছাত্রদের রক্ষা করতে পারি না এই শিক্ষকতার কি দাম আছে?

ডাকসু অফিসের দোতলায় উঠে দেখি কেউ কেউ পানি পানি বলে চিৎকার করছে। কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। ওরা দরজা বন্ধ করে বসেছিল। বার বার আশ্বাস দেয়ার পরেও ভয়ে দরজা খুলছে না। বলছিল, লাইট নিভিয়ে দিয়ে লোহার রড দিয়ে এলোপাথারি মারা হয়েছে। কয়েক বোতল পানি শুধু এগিয়ে দিতে পারলাম। এইটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়?

আর আমিও একজন শিক্ষক? ছিঃ ছিঃ ছিঃ…’উল্লেখ্য, রোববার ভিপি নুরুল হককে তার ডাকসুর কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। ভিপি নুরসহ আহতদের অভিযোগ– ছাত্রলীগ এ হামলায় সরাসরি অংশ নেয়।

এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দফায় নুরুল হক ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান।

এর পর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক (ডাকসুর এজিএস) সাদ্দাম হুসাইন ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।যুগান্তর

Check Also

অধ্যাপক গোলাম আযম একটি নাম, একটি ইতিহাস

অধ্যাপক গোলাম আযম একটি নাম, একটি ইতিহাস। তিনি বিশ্বনন্দিত ইসলামী চিন্তাবিদ, ভাষা আন্দোলনের নেতা, ডাকসুর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *