শারীরিক অসুস্থতায় দীর্ঘদিন রাজধানীর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সামর্থ্য ও অর্থের অভাব না থাকলেও দেশ ছেড়ে কখনো বিদেশের হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণে যাননি। বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াতে সারাজীবন কাজ করে গেছেন ব্র্যাকের এ প্রতিষ্ঠাতা।
গত ২৮ নভেম্বর তিনি ব্রেন টিউমারে আ’ক্রান্ত অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে এবং তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল লিখেছেন, মৃ’ত্যুতেও অনন্য তিনি।
ব্র্যাক গ্লোবাল বোর্ডের চেয়ারম্যান আমীরা হক এক বিবৃতিতে বলেছেন, যত দিন সম্ভব এবং যতটা সহজভাবে সম্ভব, তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন চালিয়ে যেতে চেয়েছেন। বাংলাদেশের ব্র্যাক আজ সারা বিশ্বে পরিচিত। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও শ্রেষ্ঠ বেসরকারি সংস্থা।
মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যু’দ্ধবি’ধ্ব’স্ত দেশের তৃণমূলের মানুষের সেবা করতে গিয়ে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন ফজলে হাসান আবেদ। মাত্র এক লাখ কর্মী নিয়ে শুধু বাংলাদেশেই নয়, পৃথিবীর ১১টি দেশের ১২০ মিলিয়ন মানুষকে বিভিন্ন সেবা দিয়ে চলেছে ব্র্যাক।
উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া ফজলে হাসান আবেদ সমাজকর্মের জন্য স্যার উপাধি পাওয়া ছাড়াও বিশ্বের বহু সম্মানিত পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মানিত করেছেন।mtnews