ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাপের মধ্যেই পাকিস্তানের সাথে সীমান্ত রেখায় আবার টানাপড়েন দেখা দিয়েছে। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে পাকবাহিনীর পাল্টা হামলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারত। তবে এ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর দাবি করেছেন, পাকবাহিনীর পাল্টা হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনেক সদস্য হতাহত ও বেশ কিছু পোস্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর জিও নিউজ, ডন এবং ওয়ান ইন্ডিয়ার। গত শনিবার গভীর রাতে সেনাবাহিনীর পাল্টা জবাব নিয়ে এক টুইটার পোস্টে জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় সেনাবাহিনী অবিরাম যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে।
এর সমুচিত জবাব দেয়া হয়েছে। দেউয়া সেক্টরে সিএফভির জবাবে চালানো অভিযানে ভারতীয় পোস্টের বড় ক্ষতি হয়েছে এবং বিপুলসংখ্যক ভারতীয় সেনা হতাহত হয়েছেন। জেনারেল আসিফ গফুর আরো দাবি করেন, কিরণ অথবা নীলাম উপত্যকায় কোনো বড় ধরনের গুলিবিনিময় হয়নি বলে ভারতীয় মিডিয়ায় বলা হচ্ছে যা নিতান্তই অপপ্রচার। গত আগস্ট মাসে দেশটির সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মিরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ তুলে নেয়ার পর থেকেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে এবং সীমান্তরেখা বরাবর গোলাগুলি বর্ষণের ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর আগে ভারতের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, নিয়ন্ত্রণরেখার আখনুর এবং সুন্দেরবানি সেক্টরে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালিয়েছে পাক সেনারা। তাদের মোক্ষম জবাব দিতে পাল্টা গুলি চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারত বলছে, শনিবার সকালে আখনুর সেক্টরের খৌর এবং পালানওয়ালা এলাকায় সরাসরি গুলি চালিয়েছে পাক সেনারা। পাক সেনারা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পরই পাল্টা গুলি চালানো হয়েছে বলে দাবি ভারতের। নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে দু’টি লাশ উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে ভারত।
একটি সূত্র বলেছে, লাশ দু’টি দুই পাক সেনার। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নিয়ন্ত্রণরেখা। ভারত এবং পাক সেনাদের মধ্যে তীব্র গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ দিকে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতের বেশ কিছু গ্রাম লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করেছে পাক সেনারা। তবে এ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। যেকোনো ধরনের আক্রমণ থেকে বাঁচতে লোকজনকে নিরাপদে অবস্থান করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।নয়া দিগন্ত